ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্প্রতি অপারেশন সিঁদুর চালিয়ে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে স্থিত নয়টি টেররিস্ট ঘাঁটিতে সফল হামলা চালিয়েছে। এই অভিযানটি মূলত পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে দেখছে গোটা দেশবাসী।
এই অভিযানে জইশ-ই-মোহাম্মদ, লস্কর-ই-তৈবা ও হিজবুল মুজাহিদিনের গুরুত্বপূর্ণ সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিগুলোকে নিশানা করা হয়। বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, কোটলি ও মুজাফফরাবাদ-এ অবস্থিত সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর উপর লক্ষ করে নিশানা করে ভারতীয় বায়ু সেনা। ভারতীয় সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে যে এই হামলা পরিকল্পিত, নিয়ন্ত্রিত এবং উস্কানিমুক্ত ছিল, শুধুমাত্র সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এই অভিযানের প্রশংসা করে বলেন, “বিশ্বকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কোনো সহনশীলতা দেখানো চলবে না”। দেশের রাজনৈতিক মহলেও এই অভিযানের প্রশংসা হচ্ছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা “জয় হিন্দ” বলে সেনাবাহিনীর সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন।
পাকিস্তান এই হামলার পর নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC) বরাবর সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেছে, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী হাই এলার্ট মোডে রয়েছে এবং দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।
এই অভিযান ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান প্রদর্শন করছে এবং ভবিষ্যতে এমন আরও পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। অপারেশন সিঁদুর ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাহস, দক্ষতা ও প্রতিশোধের শক্তিশালী বার্তা বহন করে, যা দেশের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।